Posts

অস্তিত্বের পিছুটান

Image
            “ফারুক, আমার মনে অয় ওরে আসপাতালে নিলেই ভালো অইবো।” ফারুক মাথা দোলায়। সে বুঝতে পারছে না, ঠিক এই মুহূর্তে কী করতে হবে? কারেন্ট নেই অনেকক্ষণ ধরে। ঘরের মধ্যে ভ্যাপসা গরমের প্রভাব লক্ষণীয়। গরমটা বাইরে থেকে বোঝা যাচ্ছে না তবে ভেতরে ভেতরে বেশ গরম। করিমুন বিবিকে সে আস্তে করে বলে, “খালাম্মা, কষ্ট কইরা চালায় দেন।” করিমুন বিবি ঘুরে দাঁড়ায়। তার মনে হয় না এইবার আর মেয়েটাকে বাঁচাতে পারবে। তিনি একটু আগে দেখে এসেছেন প্রচুর ব্লিডিং হচ্ছে। নিজের অজান্তেই বড় একটি দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে পরলো। রহিমা শক্ত করে বিছানার চাদর ধরে আছে। টেবিলের ওপরে রাখা চার্জার লাইটটি তার দিকে মুখ করা। বিন্দু বিন্দু ঘাম তার সারা মুখ দখল করে আছে। মনে হচ্ছে অনেকগুলো রুপার বিন্দু বসিয়ে দেওয়া হয়েছে তার মুখে। নগ্ন চার্জার লাইটের আলোর পরিমাণ খুব বেশি না। তারপরও স্পষ্ট করে সে আজরাইলকে দেখতে পাচ্ছে। তার মাথার ডানপাশে দাঁড়িয়ে আছে। অপেক্ষা করছে সঠিক সময়ের। করিমুন বিবির খসে পরা চামড়ার মুখ দেখতে পেল রহিমা। ওর দিকে কিছুটা নামিয়ে এনেছেন। ঘোৎ করে একটা শব্দ করলেন বৃদ্ধা, পরক্ষণেই সরে গেলেন রহিমার মুখের সামনে থেকে। যেন, বহু

আকাশ পার হয়ে গেল

Image
  আফসানা বেগম তার ছয় বছর বয়সী শিশুকন্যাকে নিয়ে রেললাইনের পাশে, ছোট্ট ঝুপড়িতে বসে আছেন। উদাস চোখে তাকিয়ে আছেন বাইরের দিকে। ওদিকে আকাশ দেখা যায়। তিনি ভাবলেন, “আকাশটা এত্ত বড় হয়ে কি লাভ? সে তো মানুষের মাঝে তার বিশালতা ছড়িয়ে দিতে পারছে না।” মাঝে মাঝে আফসানা বেগমের চিন্তার মধ্যে দার্শনিক ভাব চলে আসে। এখনও হয়তো চলে এসেছে। তাই সে আকাশ নিয়ে ভাবছেন। আফসানা বেগম গত তিনদিন ধরে ঝুপড়ির মধ্যেই আছেন। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে তার মেয়ে জিজ্ঞেস করে, “মা আইজ কি কামে যাবা না?” আফসানা বেগম কোন উত্তর দেন না। কিছু প্রশ্নের জবাব দিতে নেই। এই প্রশ্নটাও ঠিক এমনই। তিনি তার মেয়েকে কি করে বুঝাবেন যে, “তার চাকরীটা আর নেই!” সামিয়া তার মায়ের পাশে বসে আছে। তার একটা অভ্যাস হলো- “মা যা করবে সে তাই করবে।” মা এখন আকাশ দেখছে তাই সেও এখন আকাশ দেখছে। সামিয়া আকাশের দিকে শুধু তাকিয়ে থাকে কিন্তু কোন কিছু ভাবে না। তার সমস্ত অস্তিত্ব জুড়ে শুধু অনেকগুলো প্রশ্ন- “মা’র কি কাজ কাম নাই? আগে তো সকাল বেলা বের হতো আর রাতে ফিরতো। এখন আর যায় না কেন? সারাদিন কেন বসে থাকে? কেন সবসময় তার চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পরে?” সামিয়া মনে মন

HASTA LA VISTA BABY

Image
  It is a poster designed by me. In english, HASTA LA VISTA BABY means SEE YOU LATER. LICENSE FREE (For Personal or Commercial use) Another design for free

Digestion of protein in ruminant

Image
Digestion of protein in ruminant   The digestion of proteins in ruminants is different than non-ruminants. Food proteins are hydrolysed to peptides and amino acids by rumen microorganism, but some amino acids are degraded further by deamination to organic acids, ammonia (NH3) and carbon dioxide (CO2).  The main proteolytic organism is Prevotella ruminicola , Pepto-streptococci species and the protozoa. The ammonia produced together with some small peptides and free amino acids, is utilized by the rumen organisms to synthesis microbial proteins. Some of the microbial protein is broken down in the rumen and its nitrogen is recycled.  When the organisms are carried through to the abomasums and small intestine their cell proteins are digested and absorbed. An important feature of the formation of microbial protein is that bacteria are capable of synthesizing indespesable as well as dispensable amino acids, thus rendering their host independent of dietary supplies of the former. The greate

WELCOME HOME(2020)

Image
  Disturbing movie🚫 শহর থেকে দূরে জনমানবশূন্য এলাকা। যতদূর চোখ যায় সবুজ জঙ্গল-ডোবায় ভরপুর। মানুষের চিহ্ন নেই। একটি মাত্র দ্বিতল ভবন।" - এমন উপমা দিলে চোখের সামনে ভেসে ওঠে ভৌতিক কোনো বাড়ির প্রতিচ্ছবি। ওসব বাড়িতে কেউ যেতে চাইবে না। বিনা দাওয়াতে তো নয়ই, এমনকি নিমন্ত্রণ দিলেও নয়। এমন একটি বাড়ির সামনে এসে মোটরবাইক থামান এক ভদ্রলোক। পিপাসা পেয়েছে তার। কিন্তু বোতলের পানি শেষ। আরও একটি কারণ ছিল দাঁড়ানোর। বাড়ির ভেতর থেকে ভেসে আসছিল নবজাতকের কান্না, প্রসব বেদনায় কাতর মায়ের চিৎকার। শুরুতেই সকলকে একটা ধাক্কা মেরে পরিচালক চলে আসেন আনুজা নামক চাকরিজীবী নারীর কাছে, যিনি এক সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা। মাঝবয়সী, অবিবাহিত নারী। বিয়ে ঠিক হয়ে আছে। হবু স্বামী চায় না তিনি চাকরি করুক। ওদিকে আনুজা চান নিজের পায়ে দাঁড়াতে। পরের দৃশ্যে সহকর্মী নেহাকে নিয়ে আনুজা বের হয় আদমশুমারি করতে। তালিকায় সবার শেষে থাকা বাড়ির অবস্থান সমন্ধে খাতায় ঠিকঠাক তথ্য নেই। আনুজার স্কুটারে চড়ে দুজন বেরিয়ে পড়ে অনুসন্ধানে। একসময় পেয়েও যায়। জনমানবহীন ওই বাড়িতে যেতে নেহার মন সায় দেয় না। আনুজা ভাবে- একবার যখন এলাম, একটা মাত্র বাড়ি বাকি; শে

'দ্রঢ়িষ্ঠ' ম্যাগাজিন

Image
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যানিমাল সাইন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের এ্যানিমাল হাজবেন্ড্রী ডিপার্টমেন্টের ১০ম ব্যাচ হচ্ছে 'দ্বীপান্বয়-১০' ব্যাচ। ক্যাম্পাসের প্রোডাক্টিভ এই ব্যাচটির পক্ষ থেকে বিগত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস ও 'দীপান্বয়-১০' ব্যাচের প্রথম বর্ষপূর্তি হিসেবে তারা প্রকাশ করেছে, অনলাইন ম্যাগাজিন 'দ্রড়িষ্ঠ'। ম্যাগাজিনটির ট্যাগলাইন ছিলো- "দীপান্বয়ের দীপ্তিতে আলোকিত প্রান্তর"। ২০২২ সালের ১৩ মার্চ দীপান্বয়-১০ ব্যাচ ক্যাম্পাসে পদার্পণ করে। প্রথম থেকেই তাদের উদ্দেশ্য ছিলো ভালো কিছু করা। এবং তারা তা করে দেখিয়েছে। নিজেদের মধ্যে নানান সমস্যা থাকলেও, বিভেদ থাকলেও, দীপান্বয় নামটির নিচে তারা সবাই এক। গলা ফাটিয়ে স্লোগান দেওয়া, একসাথে আড্ডা দেওয়া, মিছিলে একত্রে থাকা তাদের ইউনিটির উদাহরণ। অনলাইন ম্যাগাজিন দ্রড়িষ্ঠের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন জারিন তাসনিম যুথি। সহ-সম্পাদক, ইলাস্ট্রেশন, প্রচ্ছদগুলো করেছেন তাহসিন হোসাইন। ম্যাগাজিনের সুন্দর নামটি এসেছে আলজিদা জামান ঐন্দ্রিলার তরফ থেকে। সব মিলিয়ে বেশ উপভোগ্য ছিলো এই ম্যাগাজিন

GIRL IN THE BASEMENT(2021)

Image
   হুমায়ূন আহমেদ এর একটা উক্তি আছে, “পৃথিবীতে অসংখ্য খারাপ মানুষ আছে কিন্তু একজনও খারাপ বাবা নেই।” এই উক্তিটিকেই মিথ্যে করে দিয়েছিলো ২০০৮ সালে প্রকাশ হওয়া অস্ট্রিয়ার একটি ঘটনা। এক বাবা যার নাম জোসেফ ফ্রিটজেল। সে নিজের মেয়েকে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বেসমেন্টে বন্দী করে রেখেছিলো এবং ধর্ষন করেছিলো। সেখান থেকে জন্ম নেয় ৭টি শিশু। আর এই ঘটনা নিয়ে নির্মিত হয়েছে মুভি Girl In The Basement. মুভির শুরুটা হয় সারা নামের মেয়েকে দিয়ে। সারার বাবা ডন, তাঁকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। কেননা, মেয়ের অবাধ চলাফেরা ও স্বাধীনচেতা চিন্তাধারায় সে ক্ষুব্ধ। সে চায় সারা তার কথা মতো চলবে। কিন্তু সারা তার মতো করেই স্বাধীন ভাবে চলতে চায়। কিছুদিন পরই সারার ১৮ তম জন্মদিন। তাই সে ১৮ বছর হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। তার ইচ্ছে ১৮ বছর হলেই সে তার পরিবার ছেড়ে চলে যাবে এবং তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে প্রত্যেকটা স্টেট ঘুরে বেড়াবে। আলাদা এক স্বাধীন জীবন কাটাবে, যেখানে কেউ তাকে বাধা দেবে না। সারার মা ও ছোট বোনও এই ব্যাপারে তাকে অনেক সমর্থন দেয়। তবে এই ব্যাপারটা তার বাবা হঠাৎ জেনে ফেলে। কিন্তু ১৮ তম জন্মদিন আসার আগেই তথা ১৯৮৪ সালের ২৩ এপ্রিল,

THE PRODIGY(2019)

Image
Ohio তে একজন সিরিয়াল কিলারকে যেসময় তার ফার্মহাউসে রেইড করে মেরে ফেলা হয় ঠিক সেসময়'ই Pennsylvania তে সারা আর জনের কোলে জন্ম নেয় একটি ছোট্ট শিশু-মাইলস। কিন্তু মাইলস যতই বড় হতে থাকে ততই ওর মধ্যে কিছু অস্বাভাবিকতা লক্ষ করতে থাকে ওর মা। মাইলসের দু চোখের দুটি মনি ছিল ভিন্ন দুটি রঙের। সে যথেষ্ট বুদ্ধিমান ছিল এবং ঘুমের ঘোরে সে হাঙেরিয়ান ভাষায় কি সব যেন বলতে থাকে। তাই এক সাইকিয়াট্রিস্টের শরণাপন্ন হতে হয় সারাকে। উনি বলেন মাইলসের ভেতরে আসলে অন্য এক অতৃপ্ত আত্মার বসবাস। মাইলস যা করে তা আসলে ও করে না। সেই অশরীরি আত্মাই ওর দিয়ে করিয়ে নেয় এবং সেই আত্মা তার অসম্পূর্ণ কাজটি শেষ করার জন্য মাইলসের শরীরে বাসা বেঁধেছে। যতদিন সেই কাজটি না শেষ হচ্ছে ততদিন মুক্তি নেই মাইলসের। এদিকে বিপদ আরো ঘনিয়ে আসে। বাড়ির কুকুরটাকে মেরে ফেলে মাইলস। গাড়িতে ওর বাবাকে পর্যন্ত মেরে ফেলার চেষ্টা করে। তারপর যা ঘটে সেটি ছিলো টুইস্ট। তবে যারা পূণর্জন্মে বিশ্বাসী না তাদের গল্পটা ভালো না লাগতে পারে, কিন্তু ভৌতিক ফিল নেয়ার জন্য এই মুভি দেখাই যায়।   🎬The Prodigy(2019) 💡IMDB: 5.9/10 💡Rotten Tomatos: 42% 💡My Rating: 7/10   বাংলা

PREDESTINATION(2014)

Image
কিছু টেম্পোরাল এজেন্ট আছে যাদের কাজ হলো অপরাধ সংগঠিত হবার আগে টাইম ট্র‍্যাভেলের মাধ্যমে তা থামানো! এরা তাদের টাইম মেশিনের মাধ্যমে জিরো পয়েন্ট থেকে ৫৩ বছর পর্যন্ত সামনে বা পেছনে যেতে পারে। জিরো পয়েন্ট হলো ১৯৮১ সাল! টাইম মেশিন আবিস্কারের সাল! মুভিতে একজন দক্ষ টেম্পোরাল এজেন্ট, মার্চ ১৯৭৫ সালের একটি ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরন থামানোর মিশন হাতে নিয়ে নামে, যে বিস্ফোরনটি ঘটিয়েছিলো ফিজল বম্বার নামে একজন সন্ত্রাসী। টাইম ট্র‍্যাভেলের মাধ্যমে এই বোমা হামলা থামানোর মিশনে ঘটে যায় বেশ কিছু অদ্ভুদ ঘটনা যার বেশিরভাগই মাথা ঘুরিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। নিঃসন্দেহে এই মুভি যেকারোই মাথার উপর দিয়ে যাবে। কি হচ্ছে না হচ্ছে, তা বুঝার জন্য কমপক্ষে দুইবার এই মুভি দেখা আবশ্যক।   🎬Predestination(2014) 💡IMDB: 7.4/10 💡Rotten Tomatos: 84% 💡My Rating: 8/10  

WELCOME HOME(2020)

Image
Disturbing movie🚫 শহর থেকে দূরে জনমানবশূন্য এলাকা। যতদূর চোখ যায় সবুজ জঙ্গল-ডোবায় ভরপুর। মানুষের চিহ্ন নেই। একটি মাত্র দ্বিতল ভবন।"- এমন উপমা দিলে চোখের সামনে ভেসে ওঠে ভৌতিক কোনো বাড়ির প্রতিচ্ছবি। ওসব বাড়িতে কেউ যেতে চাইবে না। বিনা দাওয়াতে তো নয়ই, এমনকি নিমন্ত্রণ দিলেও নয়। এমন একটি বাড়ির সামনে এসে মোটরবাইক থামান এক ভদ্রলোক। পিপাসা পেয়েছে তার। কিন্তু বোতলের পানি শেষ। আরও একটি কারণ ছিল দাঁড়ানোর। বাড়ির ভেতর থেকে ভেসে আসছিল নবজাতকের কান্না, প্রসব বেদনায় কাতর মায়ের চিৎকার। শুরুতেই সকলকে একটা ধাক্কা মেরে পরিচালক চলে আসেন আনুজা নামক চাকরিজীবী নারীর কাছে, যিনি এক সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা। মাঝবয়সী, অবিবাহিত নারী। বিয়ে ঠিক হয়ে আছে। হবু স্বামী চায় না তিনি চাকরি করুক। ওদিকে আনুজা চান নিজের পায়ে দাঁড়াতে।  পরের দৃশ্যে সহকর্মী নেহাকে নিয়ে আনুজা বের হয় আদমশুমারি করতে। তালিকায় সবার শেষে থাকা বাড়ির অবস্থান সমন্ধে খাতায় ঠিকঠাক তথ্য নেই। আনুজার স্কুটারে চড়ে দুজন বেরিয়ে পড়ে অনুসন্ধানে। একসময় পেয়েও যায়। জনমানবহীন ওই বাড়িতে যেতে নেহার মন সায় দেয় না। আনুজা ভাবে- একবার যখন এলাম, একটা মাত্র বাড়ি বাকি; শেষ