অস্তিত্বের পিছুটান
“ফারুক, আমার মনে অয় ওরে আসপাতালে নিলেই ভালো অইবো।” ফারুক মাথা দোলায়। সে বুঝতে পারছে না, ঠিক এই মুহূর্তে কী করতে হবে? কারেন্ট নেই অনেকক্ষণ ধরে। ঘরের মধ্যে ভ্যাপসা গরমের প্রভাব লক্ষণীয়। গরমটা বাইরে থেকে বোঝা যাচ্ছে না তবে ভেতরে ভেতরে বেশ গরম। করিমুন বিবিকে সে আস্তে করে বলে, “খালাম্মা, কষ্ট কইরা চালায় দেন।” করিমুন বিবি ঘুরে দাঁড়ায়। তার মনে হয় না এইবার আর মেয়েটাকে বাঁচাতে পারবে। তিনি একটু আগে দেখে এসেছেন প্রচুর ব্লিডিং হচ্ছে। নিজের অজান্তেই বড় একটি দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে পরলো। রহিমা শক্ত করে বিছানার চাদর ধরে আছে। টেবিলের ওপরে রাখা চার্জার লাইটটি তার দিকে মুখ করা। বিন্দু বিন্দু ঘাম তার সারা মুখ দখল করে আছে। মনে হচ্ছে অনেকগুলো রুপার বিন্দু বসিয়ে দেওয়া হয়েছে তার মুখে। নগ্ন চার্জার লাইটের আলোর পরিমাণ খুব বেশি না। তারপরও স্পষ্ট করে সে আজরাইলকে দেখতে পাচ্ছে। তার মাথার ডানপাশে দাঁড়িয়ে আছে। অপেক্ষা করছে সঠিক সময়ের। করিমুন বিবির খসে পরা চামড়ার মুখ দেখতে পেল রহিমা। ওর দিকে কিছুটা নামিয়ে এনেছেন। ঘোৎ করে একটা শব্দ করলেন বৃদ্ধা, পরক্ষণেই সরে গেলেন রহিমার মুখের সামনে থেকে। যেন, বহু